নওগাঁর মান্দায় বিয়ের দাবি নিয়ে বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী (২৩) দুইদিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন। বিয়ের দাবি পুরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়াসহ আত্মহত্যার হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
প্রেমিক যুবকের নাম মিঠুর কুমার মন্ডল (৩২)। তিনি উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের পারইটুঙ্গী গ্রামের বিমল চন্দ্র মন্ডলের ছেলে। নওগাঁর বদলগাছি উপজেলা যুবউন্নয়ন অধিদপ্তরে সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি।
ভুক্তভোগী তরুণী জানান, ফেসবুকের মাধ্যমে প্রায় এক বছর আগে মিঠুন কুমারের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সূত্র ধরে মিঠুন রাজশাহী শহরে তাঁর সঙ্গে একাধিকবার দেখা সাক্ষাত করেন।
ওই তরুণী আরও বলেন, ‘গত ২২ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে মিঠুন আমাকে রাজশাহী শহরের বোয়ালিয়া থানার পাশে একটি ছাত্রাবাসে নিয়ে যান। মিঠুনের মামাতো ভাই রকি ওই ছাত্রবাসে থেকে লেখাপড়া করতেন। ওই রাতে আমি ও মিঠুর একই কক্ষে রাতযাপন করেছি। এ সময় বিয়ের প্রলোভন দিয়ে মিঠুন আমার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হন।’
তরুণী অভিযোগ করে বলেন, ‘এরপর থেকে মিঠুন আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। মোবাইল ফোনও রিসিভ করেন না। এ অবস্থায় অনেক কষ্টে মিঠুনের গ্রামের ঠিকানা সংগ্রহ করেছি। এখন বিয়ের দাবিতে অনশন করছি। দাবি পুরণ না হলে এখানেই আত্মাহুতি দিব।’
বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বেলাল হোসেন বলেন, সংবাদ পেয়ে শনিবার সন্ধ্যার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই তরুণীকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তরুণী বিয়ের দাবিতে অনঢ় রয়েছে। অবস্থা বিবেচনায় প্রামপুলিশ পাহারায় প্রতিবেশী সুকেশ চন্দ্র মন্ডলের বাড়িতে রাখা হয়েছে তাঁকে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও মান্দা থানার ওসিকে অবহিত করা হয়েছে।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মেয়েটি মামলা করতে চাইলে সবধরণের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত